১২৯টি বাল্যবিয়ে!একাই থামিয়েছেন !!!!

0
887


‘১২৯টি বাল্যবিয়ে ঠেকিয়েছি আমি এখনো পর্যন্ত।এদের কেউ এখন কেউ দক্ষ উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেনউচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন, ।’

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার একজন সংগঠক কেশব রায়। যিনি একাই ঠেকিয়েছেন ১২৯টি বাল্যবিবাহ।  বিভিন্ন পথনাটকের মধ্য দিয়ে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে সচেতনা গড়ে তোলা যার অন্যতম প্রধান কাজ।জীবিকার তাগিদে ভাঙারির দোকানে কাজ শুরু করা কেশবের সাফল্যের ইতিহাস সম্প্রতি উঠে এসেছে ইউনিসেফ বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে।
তার অনন্য এ কাজের জন্য স্বীকৃতিও পেয়েছেন কেশব। ২০১৩ সালে জাতিসংঘের সম্মানজনক ইয়ুথ কারিজ অ্যাওয়ার্ড ফর এডুকেশন পুরস্কার পান তিনি। 
২০০৭ সালে কেশবের ছোট্ট ভাগ্নিকে পরিবার থেকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিয়ে ঠেকাতে না পেরে আত্মহত্যা করে সে। বিষয়টি দাগ কেটেছিল তার মনে। কেশব বলেন, ‘প্রিয় ভাগ্নির মৃত্যুর পর থেকেই প্রতিজ্ঞা করি, আমার উপজেলায় যেন আর  কোনো বাল্যবিয়ে না হয়।’ 
সেজন্য এসময় থেকেই আশেপাশের গ্রামগুলোতে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পথনাটক দেখানো শুরু করেন তিনি। যে নাটকগুলো তুলে ধরা হত বাল্যবিয়ের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যার কথা। মেয়েদের কী ধরণের সমস্যায় পড়তে হয় বিয়ের পরে, সেগুলোও দেখান সেই পথনাটকগুলোতে। 
কেশব বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত ১২৯টি বাল্যবিয়ে ঠেকিয়েছি আমি। যাদের বিয়ে ঠেকাতে পেরেছি, তাদের মধ্যে অনেকেই এখন উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে। কেউ কেউ দক্ষ উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছে।’ 
বাল্যবিবাহ ঠেকাতে বেশকিছু অভিনব পদ্ধতিও বের করেছেন কেশব।তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক গ্রামের মেয়েদের হাতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফোন নাম্বারসহ একটি আমি লাল কার্ড দেই। যাতে বাল্যবিয়ের কথা উঠলে ওই নাম্বারগুলো ব্যবহার করে প্রশাসনের সাহায্য নিতে পারে মেয়েরা।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here